নিউজ ডেস্ক: কাজী জাকারিয়া পেশায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কশিপুর ২৮ নং ওয়ার্ডের সরকার নির্ধারিত একজন নিকাহ রেজিষ্ট্রার । তার কাজ হচ্ছে বিধি বিধান মেনে বিবাহ ও তালাক নামার কাজ সম্পন্ন করা। কিন্তু ২০১৯ সালে সরাকরি নিকাহ রেজিষ্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর পরই সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সাথে মিলে হয়ে উঠেন শীর্ষ প্রতারক। মিথ্যা কাবিন নামা তৈরি করে তরুন তরুনীদের কাছে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। জীবন সর্বনাশের ভয়ে অনেক তরুন-তরুনী এখন দিশেহারা। সর্বশেষ প্রতারক চক্রের একাদিক সদস্যকে সাক্ষী ও একজনকে স্বামী দেখিয়ে মারিয়া আক্তার নামে বাখেরগঞ্জ দুধল আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রীর নামে ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করে অর্থ লুটের পায়তারা করলে মামলা করেন ভূক্তভোগি ছাত্রীর পরিবার। বরিশাল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয় পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন)। সেই তদন্তে উঠে আসে কাজি জাকারিয়ার জালিয়াতির চিত্র। মেয়েটির স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা হয় কাবিন নামা। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কাজি জাকারিয়াসহ অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। জামিন প্রার্থনার জন্য (৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৪) আদালতে উপস্থিত হলে কাজি জাকারিয়ার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরন করেন বিচারক। এই প্রতারক চক্রের বিষয়ে অনুসন্ধানে জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে সূত্রে মিলে ভয়ানক তথ্য।
আরো ২৮জন তরুনীর নামে ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করেছিল কাজি জাকারিয়া। তৎকালীন জেলা রেজিষ্ট্রার কাজি জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু অদৃশ্য কারনে শক্তিশালী এই চক্রের সদস্যের অন্যতম হোতা জাকারিয়া কিছু দিন নিরব থেকে আবার শুরু করেন সেই একই অপরাধ। মাঠে নামেন টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মিশনে। এ দফায় কারান্তরীন হলেও কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বরিশাল জেলা রেজিষ্টার মোহছেন মিয়া জানান, জাকারিয়া সরকারি কাজি হয়েও মিথ্যা কাবিন নামা বানিয়ে উঠতি বয়সী তরুন তরুনীদের হয়রানী করার অভিযোগ আছে তার কাছে। তাই মন্ত্রনালয়ে তার নিকাহ লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।