নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বিয়ের প্রলোভনে ৩০ বছর বয়সী এক সন্তানের জননীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মুবিনুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা মুহতামিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) রাত্রে তাকে বরিশাল কাশীপুর বাজার সংলগ্ন দারসুল কুরআন একাডেমি হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এস আই সগীরের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামী মুবিনুল কে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী।দারসুল কুরআন একাডেমি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় তিনি মুহতামিম হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন আসছেন।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারী দাবি করেন, আমার সন্তানের সাথে দেখা করার সুযোগে প্রায় সাত মাস ধরে মুবিনুল ইসলামের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ভুক্তভোগী নারী আরও জানান যে আমার ২০০৯ সালে আমার বিয়ে হলে স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের কারনে বিচ্ছেদ হয়। সেই সংসারে আমার একটা ৭ বছরের সন্তান আছে মোঃ আমান (বর্তমান বয়স-৯)। আমার পিতার মৃত্যুর পরে আমার পূর্বের স্বামী আমার সন্তান মোঃ আমানকে নিয়ে যায়।আমার সন্তানকে নিয়ে কাশীপুর বাজার সংলগ্ন দারসুল কুরআন একাডেমি নামে মাদ্রাসায় ভর্তি করে।বাচ্চার সাথে দেখা করার সুযোগে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিল। বিভিন্ন সময় বিয়ের কথা বলা হলেও তাতে
কর্ণপাত করতো না। পরে আমি সম্পর্ক থেকে সরে আসার চেষ্টা করি।সরে আসার চেষ্টা করলে আমাকে আমার ছেলের সাথে দেখা করাবে না এই বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়, কিন্তু মুবিনুল আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করতো।ছেলেকে দেখা করার সুবাধে সর্বশেষ শনিবার (২৭জানুয়ারী)বিকালে তাকে ধর্ষণ করে মুবিনুল ইসলাম।
বিকালে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে মুবিনুলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।তাকে বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী রাতে তার মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করে।