দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনগুলোর ভোট আগামী ১৪ মার্চ জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংরক্ষিত নারী আসনের ভোটের এ তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে শেষে তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নারী আসনগুলোতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৮ ফেব্রুয়ারি। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে। ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করবেন রিটার্নিং অফিসার।
মনোনয়ন যাছাই-বাছাইয়ের ওপর আপিল করা যাবে ২২ ফেব্রুয়ারি।
আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি। এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনের অর্থ অনু বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান।
নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়।
৯ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করেছে ইসি। এবার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। এ ভোট সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের ভোট দিবেন সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা।
সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এছাড়া স্বতন্ত্র ৬২টি আসনে বিজয়ীরাও আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ায় সংখ্যানুপাতের হিসাবে দলটি সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে।
বিরোধীদল জাতীয় পার্টি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দিবে ২ জন প্রার্থীকে।
সংরক্ষিত নারী আসনগুলো ছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। চার ধাপে আগামী ৪ মে থেকে ২৫ মে এ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ ৪মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫মে। কোন উপজেলা কোন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ধারণ হবে ওইসব উপজেলার শপথ গ্রহণ শেষে প্রথম বৈঠকের তারিখ অনুযায়ী। এ বিষয় বিস্তারিত উপজেলা নির্বাচনের তফসিলে জানানো হবে।’