বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা, যিনি শ্রমিক হিসেবে সেখান কাজে গিয়েছিলেন। নিহত নারী হুসনে আরা ওরফে আসমা (৫২) ঘুমধুম জলপাইতলীর বাদশা মিয়ার স্ত্রী।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তে জান্তাবাহিনী আরাকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে হেলিকপ্টার ও বিমান থেকে মর্টারশেল ফেললে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার পরপরই র্যাব, পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অন্য মরদেহ এখনো ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে।
তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা রূপলা ধর জানান, বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারের দুটি মর্টারশেল পৃথক দুই স্থানে পড়ে একজন বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা শ্রমিক মারা গেছেন। সীমান্তের অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
ঘুমধুম ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য খালেদা বেগম বলেন, ‘দুপুরে ঘরে মর্টারশেল পড়ে আমার এলাকার হুসনে আরা ওরফে আসমা নামের এক নারী মারা গেছেন। অন্য একস্থানে একজন রোহিঙ্গা শ্রমিক মারা যাওয়ার খবরটি আমিও শুনেছি।’
নাইক্ষংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান, নিহতদের মধ্যে হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) জলপাইতলি এলাকার বাসিন্দা। নিহত অপরজন পুরুষ।
তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
ওসি আরো জানান, অপর ব্যক্তি ওই বাড়িতে কাজ করতে এসেছিলেন- এমনটা শোনা যাচ্ছে। তিনি রোহিঙ্গা নাগরিক হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।