ঢাকা শনিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমদানি বাড়লেও রমজানের আগে স্বস্তি নেই বাজারে

vorer angikar
ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আসন্ন রমজানের পণ্যের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। একই সঙ্গে নেই ডলার ও এলসি (ঋণপত্র) সমস্যাও। এরপরও বাজারে সরবরাহ ও দামে স্বস্তি ফিরছে না কেন?

পবিত্র রমজানে সাধারণত খেজুরের চাহিদা বেশি থাকে। বছরজুড়ে দেশের এই পণ্যটির চাহিদা কমবেশি ৯০ হাজার মেট্রিক টন। যার অর্ধেকই লাগে রমজান মাসে।

রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, গত ১ অক্টোবর থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত খেজুর আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৮০ মেট্রিক টন। অথচ এক বছর আগে এসেছিল দ্বিগুণের বেশি। যা ২৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন।
 

বাজারে খেজুরের দাম নিয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর যে খেজুর ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি, তা এবছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকায়।

রাজধানীর ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বড়ই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।
 
 
রমজানে চাহিদা বাড়ে ডাল-ছোলার। গত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাড়ে তিন মাসে ডাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬২৮ মেট্রিক টন। এক বছর আগের তুলনায় ১৮ হাজার মেট্রিক টন কম। অবশ্য ছোলার আমদানি হয়েছে এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ বছর ছোলা আমদানি হয়েছে ৪৯ হাজার ৫১৫ টন।
 
ডালের দাম নিয়ে এক বিক্রেতা বলেন, গত রমজানের প্রতি কেজি ছোলার দাম ‍ছিল ৯০ টাকা। বর্তমানে তা ১১০ টাকা। আগে খেসারির ডালের কেজি ছিল ৮০ টাকা, এবার তা ১১০ টাকা। গত বছর ডাবলির কেজি ছিল ৭০ টাকা, এবার ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
এবার আমদানি বেড়েছে ভোজ্যতেল এবং চিনিরও। অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮৬ টন এবং চিনি ১ লাখ ১৮ হাজার ৭০৭ টন।
 
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। আর আমদানি শুল্ক অর্ধেক কমানোর পরও বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি তো বাজার থেকেই উধাও।
 
ফলে রমজানে বাড়তি ব্যয়ের শঙ্কায় ভোক্তারা। এমন শঙ্কা প্রকাশ করে এক ভোক্তা বলেন, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যেন রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামিয়ে বাজারে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা হোক।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। তাছাড়া ডলারসহ বাকিতে আমদানি ঋণপত্র খোলাতেও কোনো ঝামেলা নেই।
 
ব্যবসায়ীদের দাবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত রেটে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলার দিচ্ছে না। এতে দামে ও পরিমাণে বাজারে স্বস্তি ফিরতে দিচ্ছে না।
 
 

এ বিষয়ে ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, 

একমাত্র সরকারি ব্যাংক ছাড়া কোনো বেসরকারি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নির্দেশনা মানেনি। আমার জানা মতে ক্ষেত্রবিশেষে প্রতি ডলার ১২৩ টাকা থেকে ১২৫ টাকা রেখেও বিল পরিশোধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ডলারের যখন দাম বেড়ে গেলো তখন ট্যাক্স কাঠামোও বাড়তে থাকে।

দীর্ঘদিন ধরে বাজারে চাহিদা-যোগানের ভুল পরিসংখ্যানের মাশুল গুনছেন ভোক্তারা। এমন দাবি করে পণ্য পরিমাণের হিসাব সঠিকভাবে রাখা ও সরবরাহ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।
 

তিনি বলেন, 

আমদানির নামে অর্থপাচার হলো কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু সেই খবর রাখে না। ওভার ইনভয়েন্সিং ও আন্ডার ইনভয়েন্সিং করে করেই কিন্তু ডলারের দাম ওঠানামা করছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাচ্ছে।

এদিকে সাধারণ মানুষের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে মাঠকর্মী পর্যন্ত যেভাবে উদ্যোগ বেড়েছে, তার প্রভাব যেন দিন শেষে সেভাবেই বাজারে পড়ে। ফলে বাড়ে পণ্যের সরবরাহ আর কমে দাম

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।