পলাশ চন্দ্র দাসঃ বরিশালে এবার একটু আগাম শীত নামতে শুরু করেছে নগরীর পদ্দাবতী থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এই আগাম শীতে লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি। বরিশালে বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা লেপ-তোষক মওজুদ করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। শীত এলে কদর বাড়ে লেপ-তোষকের তাইতো এই সময়ে সাধারণ মানুষ ভিড় জমায় লেপ – তোষকের দোকানগুলোতে। পৌষ-মাঘ না এলেও শীতের আগমনী বার্তায় বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। ভোরে দেখা মিলছে কুয়াশার আর সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। পাতলা কাঁথার আবেশ ভুলে এখন সময় তাই লেপের উষ্ণতার। সোমবার ১১ ডিসেম্বর বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়। ব্যস্ত সময় পার করছেন এই এলাকার লেপ-তোষকের কারিগররা তাদেরই একজন সোলেমান। দীর্ঘ ২৫ বছর এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি তার বাবাও ছিলেন লেপ-তোষকের কারিগর। সেই থেকেই আস্তে আস্তে নিজেও কারিগর হয়েছেন সোলেমান।বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করেন সোলেমান। পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তার ছেলেও সময় দেন তাকে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করে যে উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। এ বিষয়ে লেপ-তোষকের কারিগর সোলেমান দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার কে বলেন।আমি ও আমার ছেলে দুই জনে মিলে যে টাকা উপার্জন করি তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া ও দোকান ভাড়া দিয়ে যা থাকে তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালাই। দুইজন মিলে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত উপার্জন করি। শীত ছাড়াও সারাবছর উপার্জন প্রায় একই থাকে। তবে শীতের সময় লেপ-তোষকের চাহিদা বেশি। অনেকেই পুরনো লেপ- তোষক নতুন করে সাড়াতে আশে। তিনি জানান তুলা ভেদে লেপ- তোষকের দাম এর পার্থক্য আছে। মজুরিও একেক রকম পলি, শিমুল, পিসি, মাহিশা, ফাইবার, কার্পাস, উল, ব্লাজার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তুলা আছে বাজারে। তবে শিমুল ও কার্পাস তুলার লেপ-তোষক বা বালিশ বানাতে খরচটা একটু বেশি। তুলা কাপড়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন কাপড় প্রতি গজ- ৬০থেকে ৮০ টাকা, শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কার্পাস তুলা-বিভিন্ন দামের আছে। কালো হুল-৬০টাকা। কালো রাবিশ তুলা-১৫০ থেকে বিভিন্ন দাম, সাদা তুলা -১২০,১৫০ ,২০০ টাকা পযন্ত।