নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৫ দিন নিখোজ হওয়ার পর গভীর রাতে উজিরপুর উপজেলার আটিপারা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হন বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড, পলাশপুর রহমানিয়া ক্বিরাতুল কুরআন পাবলিক এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী।স্থানীয়দের দেয়া সংবাদ অনুযায়ী তার পরিবারের সদস্যরা নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে শেবাচিমে ভর্তি করেন।এসময় তার শরীরে ধারালো অশ্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে,ভর্তির ৪ দিন পরেও স্বাভাবিক হতে পারছেন না তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন শুধু। ডাক্তারদের অভিমত, কৌশলে নেশাজাতীয় কোন দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে রোগীকে। পরিপূর্ণ সুস্থ হতে তার আরও সময় লাগবে। সুত্র অনুযায়ী, গত ৫ ই অক্টোবর পলাশপুরের কলেমা চত্বর থেকে নুরুল ইসলাম ফিরোজীর মোবাইল ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় নয়ন হাওলাদারের পুত্র রেম্মান এবং তার সহযোগীরা। তবে,ভিকটিম নুরুল ইসলাম এবং স্থানীয়দের তৎপরতায় নুরুল ইসলামের ফোন ফিরিয়ে দিলেও ব্লুটুথের মাধ্যমে মোবাইলে থাকা ব্যাক্তিগত অডিও,ভিডিও ক্লিপ নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয় রেম্মান। পরবর্তীতে, সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নুরুল ইসলামের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে রেম্মান। বিষয়টির প্রতিকারে নুরুল ইসলাম ফিরোজী ০৭/১০/২০২৫ তারিখ কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে যার নং ২৪২। এ ঘটনার তিন দিন পর রাত আনুমানিক ৯ টায় নিজ মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন নুরুল ইসলাম। তার নিখোজের পর স্বজনরা পুনরায় কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করতে থাকেন তারা। তৎপরতা চালায় পুলিশও। এরই মাঝে উজিরপুর থেকে উদ্ধার হন তিনি। শেবাচিমে অবস্থানরত নুরুল ইসলামের স্বজনরা জানান, হয়তো কোন পেশাদার অপরাধী চক্রের শিকার হয়েছেন তিনি অথবা বিগত দিনে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কারনে অনেকের বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি।তাদের মধ্য থেকেও কেউ এমন কাজ করতে পারেন।আমরা আশা করি,প্রশাসনিক তদন্ত শেষে অপরাধীরা ধরা পরবেন। সর্বশেষ , এখন পর্যন্ত কি ঘটেছে তা আমরা অবগত নই। উনি সুস্থ হলেই সকল বিষয় জানতে পারবো আমরা। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
