নিউজ ডেস্ক: শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবার সংকট, চিকিৎসাসেবায় অবহেলা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের ১৩তম দিনে আজ সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জুম্মার নামাজ আদায়, মানববন্ধন, স্লোগান এবং সাধারণ মানুষের সাথে সংহতি জ্ঞাপন।
আন্দোলনের নেতা মহিউদ্দিন রনি বলেন, “এই ইন্টেরিম সরকারকে আমরা বসিয়েছি। হাসিনা গেছে যেই পথে, সেই পথে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন না। সারাদেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের জন্য দেশের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি।” তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে শেবাচিমে সরেজমিনে এসে মানুষের ভোগান্তি দেখার আহ্বান জানান এবং উল্লেখ করেন যে, পরিদর্শনের পর স্বাস্থ্যখাত কমিশনের মাধ্যমে নতুন তদন্ত করে সুপারিশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফি বলেন, “যৌক্তিক দাবি ও অধিকার আদায়ের জন্য কেন আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হবে? সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তি বা অবহেলায় মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি এই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।”
আন্দোলনকারী সুয়ান বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট সরিয়েছি। কিন্তু আফসোসের বিষয়—ফ্যাসিস্টের সিস্টেম ভাঙতে আবারও আন্দোলনে নামতে হচ্ছে।”
বিএম কলেজের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “১২ দিন ধরে রাজপথে ছাত্রজনতা এক হয়ে গেছে। এই আন্দোলন এখন গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষই ঠিক করবে তারা কী চায়। কোনো ধরনের বৈঠকে সমাধান হবে না, আমরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ আশা করছি।”
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অথবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সাথে সরাসরি আলোচনার দাবি জানিয়ে আগামীকাল সকাল ১১টা থেকে আবারও বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে।
যোগাযোগ:
মুখপাত্র, নাভিদ নাসিফ | ০১৭৭৯৬৬১৮৭৩
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে।
