নিজস্ব প্রতিবেদক :” আমার ছেলেটা ওদের চোখের সামনেই মারা গেল। আমি পিতা হয়েও তাকে রক্ষা করতে পারিনি। শুধু মাত্র ভর্তির কাগজ না থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার – নার্সরা আমার ৩ দিন বয়সী বাচ্চাটার চিকিৎসা করলো না।আমি এই ঘটনার বিচার দাবী করছি”। কান্নাজড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ৬ মাইল নিবাসী পার্থ সারথীর পুত্র এবং হানিফ পরিবহনে কর্মরত পরিবহন শ্রমিক সত্যজীত দাস চয়ন। সুত্র অনুযায়ী, দুবছরের দাম্পত্য জীবনে গত ৮ ই সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শেরেবাংলায় সিজারের মাধ্যমে কন্যা শিশু জন্ম নেয় সত্যজীত-বিথী রানি দম্পত্তির। ভূমিষ্ঠ হওয়ার তিন দিন পর গতকাল দুপুরে নবজাতক অসুস্থ হয়ে পরলে বাবা সত্যজীত নবজাতক বিভাগের এবং স্বজনরা স্কানু ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন।তবে,রেফার্ড করার প্রয়োজনীয় কাগজ্ না থাকায় শিশুটির চিকিৎসা করতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার-নার্সরা। একপর্যায়ে বাচ্চার শরীর নীল রঙ ধারন করলে নার্সদের কাছে গিয়ে অনুনয়-বিনয় করায় তারা বাবুকে নিয়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হলে ডাক্তার বাচচাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পরবর্তীতে ক্ষোভে ফেটে পরে স্বজনরা। তারা তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার -নার্সদের বিচার দাবী করেন। নিহত শিশুটির পিতা সত্যজিত আরও জানান,আমি তাদের করজোড়ে অনুরোধ করেছি আগে বাচ্চাটির চিকিৎসা করুন। আমি ভর্তির কাগজ এনে দিচ্ছি। কিন্তু, তারা আমার কোন অনুরোধে কর্নপাত করেনি।যার ফলশ্রুতিতে চোখের সামনে আমার বাচ্চাটি মারা গেল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেবাচিমের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জে: ডা. এ কে এম মশিউল মুনির বলেন,বিষয়টি আমি অবগত নই। যদি ভুক্তভোগীদের৷ লিখিত অভিযোগ পাই,তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
