জিহাদুল ইসলাম রাফি,তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।
তজুমদ্দিন থানার পুলিশ সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস্য উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে,
তার প্রমাণ স্বরূপ ভোলার তজুমদ্দিন থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কালে দুইজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) তিন আসামিকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সৃষ্টিধরগুহ সাকিনের সরকারী আবাসনের পূর্ব দিকে বেরিবাঁধ এলাকায় এঘটনা ঘটে।
থানা ও মামলার সুত্র জানায়, চরফ্যাসন থানাধীন সামরাজ মৎস্য ঘাটে মাছের আড়ৎদারের মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে ব্যবসা করেন বোরহানউদ্দিনের রিয়াজ ও শাকিল এবং তজুমদ্দিনের নাগর মাঝি। ব্যবসায়িক লেন দেনের সুত্রে আনোয়ার ও আমিনুল মোটরসাইকেল যোগে বোরহানউদ্দিন থানাধীন খাসমহল বাজারে যাওয়ার সময় কয়েকজন মিলে তজুমদ্দিনের সৃষ্টিধরগুহ সরকারী আবাসনের পূর্ব দিকে বেরিবাঁধের উপর পৌঁছা অবরুদ্ধ করে আনোয়ার ও আমিনুলকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর মোবাইলে যোগাযোগ করে ব্যবসায়ীদের স্বজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।
তজুমদ্দিন থানা পুলিশ ঘটনার বিষয় সংবাদ প্রাপ্তীর পর সহকারি পুলিশ সুপার, তজুমদ্দিন-মনপুরা সার্কেল জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহ সাহেব এর নেতৃত্বে, পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) জনাব শংকর তালুকদার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামীদের মধ্যে হইতে এজাহার নামীয় আসামী ১। মোঃ রিয়াজ(২৫), পিতা- মোঃ ছলেমান, মাতা ফুলজান, সাং মুলাইপত্তন, রফিজল চৌকিদার বাড়ী, ৮নং ওয়ার্ড, থানা-বোরহানউদ্দিন, জেলা ভোলাকে গ্রেফতার করেন এবং বাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন ও ভিকটিম আমিনুল
ইসলামকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশের সহায়তায় বাদী ও ভিকটিম আনোয়ার হোসেনক তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসা প্রদান করা হয়। মামলাটি তদন্তকালীন সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) জনাব শংকর তালুকদার সংগীয় ফের্সের সহায়তায় চট্টগ্রাম অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনায় জড়িত অপর আসামী মোঃ শাকিল(২১), পিতা- মোঃ মফিজল, মাতা জোছনা বেগম, সাং চকডোষ(আক্কাগো বাড়ী), ৭নং ওয়ার্ড, থানা-বোরহানউদ্দিন, ২। মোঃ নাগর মাঝি(৪৫), পিতা মতিউর রহমান, সাং উত্তর চাপড়ী, ৬নং ওয়ার্ড, থানা-তজুমদ্দিন, জেলা ভোলাকে গ্রেফতার পূর্বক ইং- ১৪/০১/২০২৪ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।