জিহাদুল ইসলাম রাফি, ছবি: তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।
তজুমদ্দিনের চাঁদপুরে বিলুপ্তির প্রায় বেশিরভাগ খেজুর গাছ। গাছিরা ও গাছ কাটার আগ্রহ প্রকাশ করে না, সেই কারণে শীতে আর মেলে না খেজুর রস। বছর কয়েক বছর আগেও শীতের সকালে রসের হাঁড়ি নিয়ে গাছিরা রাস্তায় গাছ কাটার জন্য ঘুরে বেড়াতো। আজ আর সেই দৃশ্য প্রায় নাই বললেই চলে। বিকেলে চোখে পড়ে না খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য।শীতের বিকেল বেলায় এ অঞ্চলে ইটভাটায় পোড়ানো হতো খেজুর গাছ। এর ফলে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা শুধুই কমেছে, এর উপর ভিত্তি করে চারা রোপন হয়নি খেজুর গাছে ।
এর ফলে প্রায় ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। আর রস সংগ্রহ করা গাছিরাও পরিবর্তন করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে । আগেরকার দিনে বিকেল বেলায় দেখা যেতো খেজুর গাছে হাড়ি পাতার দৃশ্য।বর্তমান কয়েক গ্রাম ঘুরেও একজন গাছি পাওয়া যায় না।একই ইউনিয়নের মাহারকান্দি গ্রামের মো.আলাউদ্দিন বলেন, গাছ কাটার পেশায় থেকে সংসার চলে না। তাই গাছ কাটার পেশা ছেড়ে দিয়েছি।তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গোলকপুর রাজকুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দাস বলেন বলেন, আগে শীতের সকালে প্রচুর পরিমাণে খেজুর রস কিনতাম। তা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করতো আমার স্ত্রী । এখন অনেক খুঁজেও খেজুরের রস পাওয়া যায় না।