দেশজুড়ে বিভিন্ন প্রার্থীর অনুসারীরা সহিংসতার জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়োগের চেষ্টা করছেন, এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি দেশব্যাপী বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে প্রার্থীদের অতিউৎসাহী সমর্থকদের কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
গত ৭২ ঘণ্টায় জনপ্রতিনিধিসহ ৫০ জনকে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের নামে সহিংসতার মামলা হয়েছে। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ তথ্য র্যাবকে দিয়েছেন।
যারা এ ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
মঈন বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে র্যাবের গোয়েন্দাসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। যারা সহিংসতা করতে পারেন, তাদের বিষয়ে কাজ করছি। নির্বাচনের আগে যদি তাদের পাওয়া যায়, আইনের আওতায় আনা হবে।
ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়োগের তথ্য রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রার্থীর অনুসারীরা ভাড়াটে ব্যক্তি নিয়োগের চেষ্টা করছেন বা করতে পারেন এমন তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ ধরনের সন্ত্রাসী বা আসামিদের আইনের আওতায় আনতে প্রক্রিয়া চলমান।