বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: নিজের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে জনসাধারণের তোপের মুখে পড়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। এসময় তাকে ঘিরে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয় জনতা। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যান ব্যারিস্টার ফুয়াদ। এসময় সাংবাদিকদের কাছে বলেন, স্থানীয়রা চাঁদা চাওয়ার কারণে সেতুর কাজ স্থগিত ছিল। এর পরপরই স্থানীয় জনতাকে তাকে ঘিরে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তিনি দ্রুত গাড়িতে উঠে এলাকা ত্যাগ করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আড়িয়াল খাঁ নদী তীরে ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে সড়ক ও সেতু এবং জ¦ালানী উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান প্রধান অতিথি ছিলেন। এছাড়াও নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাখাওয়াত হোসেনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার পূর্বে দু’জন উপদেষ্টা অনুষ্ঠান স্থান ত্যাগ করার পর ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের সাথে সেতুর বিষয়ে স্থানীয়রা চাঁদা চাওয়ার কারনে সেতুর কাজ স্থগিত ছিলো বক্তব্য দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে উপস্থিত রহমতপুর ইুনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব রাজন সিকদার বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে কে কার কাছে চাঁদা চেয়েছে জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া শ্লোগন দিলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গতঃ বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রার্থী হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি ইতিপূর্বে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যে কোনো উন্নয়ন কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখছেন। মীরগঞ্জ সেতু ভিত্তিপ্রস্তরের বিষয়েও তার অবদানের কথা বলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। প্রতিবাদকারী স্থানীয়রা জানান, ২০২৩-এর ৩১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক’এর সভায় মীরগঞ্জ সেতু নির্মানের লক্ষ্যে ‘উন্নয়ন প্রকল্প-প্রস্তাবনা, ডিপিপি’ চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। আর এ বিষয়ে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহাবুব হোসেন এর অবদান ছিলো। কেননা তার বাড়ি মুলাদী উপজেলাধীন হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে তৎকালীন সময়ে ভূমিকা রেখেছিলেন।
