নিজস্ব প্রতিবেদক: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে কটুক্তি ও ইসলামী শরীয়তবিরোধী মন্তব্য করায় বিক্ষোভে উত্তাল বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকা। সুত্র জানায়,নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড, বাংলাবাজারের বায়তুল মামুর জামে মসজিদে বসে কিছুদিন যাবত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি ও ইসলামী শরীয়ত বিরোধী মন্তব্য করেন স্থানীয় নুর মোহাম্মদ (৬৭)। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, মুসল্লি ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনার সিদ্ধান্ত জানালেও পরবর্তীতে তা নিয়ে টালবাহানা করলে আবারও এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় মুসুল্লিদের তীব্র বিরোধের মুখে গত ১৯ শে আগষ্ট ভুল স্বীকার করে একটি মুচলেকা দেন। কিন্তু মুচলেকা দেয়ার পরের দিন অর্থাৎ ২০ শে আগষ্ট নুর মোহাম্মদ তাকে চাপ দিয়ে মুচলেকা নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এবং পুনরায় ইতিপুর্বে মহানবীকে নিয়ে করা অশালীন বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করেন। এরই জের ধরে ২০ শে আগষ্ট রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে মসজিদের মুসুল্লি, এলাকাবাসী অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের বাড়ি ঘেরাও করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং নুর মোহাম্মদকে লাঞ্চিত করে। সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন,
অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ (৬৭) গত ১৯’ শে আগষ্ট ‘লিখিত ক্ষমাপত্রে স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি অজ্ঞাতসারে মহানবী (সা.)-এর নাম ও ইসলামী শরীয়ত সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন। বিষয়টি তার ভুল হয়ে গেছে এবং তিনি আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত।
মুচলেকা পত্রে নুর মোহাম্মদ আরও উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে আর কখনো রাসূল (সা.)-এর নামে কটূক্তি বা ইসলামী শরীয়তের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। সর্বদা নবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান রাখবে। ইসলামী আকিদা ও আমল মেনে চলার চেষ্টা করবে এবং মুসলমানদের হৃদয়ে যে আঘাত দিয়েছেন তা শোধরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। ক্ষমা প্রার্থনার সময় তিনি মুসল্লিদের কাছে অনুরোধ করেন, তার এই ভুলের জন্য যেন কেউ তাকে ঘৃণাভরে না দেখে। বরং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, এই ভুলের কারণে যেন তিনি আখিরাতে শাস্তির সম্মুখীন না হন। তিনি আরও জানান, মুচলেকা দেয়ার পরের দিন পুনরায় মহানবীকে নিয়ে নুর মোহাম্মদ কটুক্তি করায় মুসল্লিদের হৃদয়ে গভীর আঘাত করেছে। তারই জের ধরে আমরা নুর মোহাম্মদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করলেও সহিংসতার দিকে আগাইনি । সর্বশেষ, এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে, অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
