বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির বেশি কয়েকজন নেতা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে দলের নির্দেশনা অমান্য করে ১৮ নেতা নির্বাচনের মাঠে অনড় রয়েছেন। তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে নগর বিএনপি।
ভোটে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বর্তমান কাউন্সিলর সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নগর বিএনপির সদস্য সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ ও মহানগর যুবদলের সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির লিংকু, ১৫ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. ছিদ্দিকুর রহমান, ১৮ নম্বরে জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ সাদি এবং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক, জেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী মো. শাহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক ইসলাম, ১৯ নম্বরে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন, ২২ নম্বরে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ শিল্পী, ২৪ নম্বরে নগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ, ২৬ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হারুন-অর-রশীদ দৈনিক ভোরের অংগীকারকে বলেন, আমি বর্তমান কাউন্সিলর এবং আগামী নির্বাচনেও আমি এলাকার জনগনের চাহিদা অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছি। তবে দলীয় নিষেধাজ্ঞার কারনে আমি দল থেকে পদত্যাগ করছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ বলেন,আমি দলের কোন পদ পদবিতে নেই। তবে সমর্থক। এলাবাসীর প্রত্যাশা এবং চাপ থাকায় আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নিষেধ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হবে।