ঢাকা বৃহস্পতিবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দাখিল মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রেখে ‘নূরানী মাদ্রাসা’ পরিচালনা—সুপারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

vorer angikar
ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ ৬:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গৌরনদী প্রতিনিধি: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মিয়ারচর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত ক্লাস বন্ধ রেখে ব্যক্তিগত নূরানী মাদ্রাসা পরিচালনা, সরকারি বই বিক্রি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক (সভাপতি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এসব অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়—সুপার ফরিদ উদ্দিন মাদ্রাসার প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির তিনটি ক্লাস বন্ধ রেখে প্রতিষ্ঠানের সামনেই ব্যক্তিগতভাবে একটি নূরানী মাদ্রাসা চালু করেছেন। দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের দিয়েই ওই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সেখানে বেতনের বিনিময়ে পড়ানো হয় এবং এর আয় থেকে সুপার নিয়মিত ভাগ নেন। এতে মূল মাদ্রাসার তিনটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে।
এছাড়া অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়—সুপার যোগদানের পর থেকেই মাদ্রাসায় অনিয়ম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সরকারি বই বিক্রি করেছেন এবং চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফিসহ বিভিন্ন খাতে টাকা নিলেও কোনো রশিদ প্রদান করেননি। এসব অর্থ সুপার ও সাবেক সভাপতি মিলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এবতেদায়ি পর্যায়ের তিনটি শ্রেণির জন্য সরকার প্রদত্ত পাঠ্যবইয়েরও কোনো হিসাব তিনি দিতে পারেননি। এমনকি এক সহকারী শিক্ষিকা প্রায় দুই বছর অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দেখিয়ে বিষয়টি গোপন করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাবেক সভাপতির প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ফরিদ উদ্দিন সুপার পদ লাভ করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি সরকারি বরাদ্দ—বিশেষ করে টিউশন ফি বাবদ প্রদত্ত অর্থ—নিজে একাই ভোগ করে আসছেন। পাশাপাশি নিকট আত্মীয়কে সভাপতি বানানোর অপচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন। তিনি দাবি করেন, নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে তিনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই বলেও তিনি জানান। তার বক্তব্য—তিনি যোগদানের আগেই নূরানী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক সুপার ও কমিটির কয়েক সদস্য।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল জলিল জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে নূরানী মাদ্রাসাটি আগামী জানুয়ারির মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অর্থ আত্মসাৎসহ অন্যান্য অভিযোগের তদন্তও চলমান আছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।