আরশাদ মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক: তজুমদ্দিন উপজেলাধীন চাচড়াঁ ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড অদুদ পন্ডিত বাড়ির মোঃ ফারুক মিয়ার একমাত্র ছেলে মোঃ সিপন (জুয়েল)। ফারুক মিয়া রিক্সা চালক। কোন মতে টেনে হিচরে সংসার চালান। হঠাৎ একদিন একমাত্র সন্তান অসাবধানতাবশত্ ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই পাঁ হারান।
এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে ছেলেকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করেন। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা না হওয়ায় পাঁ দুটোতে পঁচন ধরে। যেখানে ঠিকমতো তিন বেলা ভাত কপালে জোটে না, সেখানে উন্নত চিকিৎসা আশা করাটা একেবারেই কাল্পনিক বিষয়। এমতাবস্থায় সংসদ অফিসে আমার সাথে দেখা করেন ছেলের পরিবার।
তাদের আর্তনাদের কথা শুনে তাদের নিয়ে দ্রুত পঙ্গু হাসপাতালে যাই। পাঁ দুটোতে পঁচন ধরে সেখানে পুজ বের হচ্ছে। এসব দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারলাম
না। দায়িত্বরত ডাক্তারের সাথে রোগীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। তাৎক্ষনিক রোগীর সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিই। আমি বেঁচে থাকতে আমার নির্বাচনী এলাকার কোন লোক বিনা চিকিৎসার মরতে পারে না। এখানেই আমার প্রশান্তি। এ কথা গুলো মনের অব্যক্ত কথা। যা অভিমানী এক দুঃখের সময়ের চিরন্তন সত্যি কথা। সেই থেকে আমৃত্যু কথাগুলো মেনেই চলার প্রত্যয়ে নিজ ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেন ভোলা-৩ আসনের বহুমাত্রিক উন্নয়নের মহানায়ক মানবিক এক মহান নেতা জননেতা আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়।
৩রা জুলাই নিজ এলাকার এক পঙ্গু রোগীকে দেখতে যান ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এসময় তিনি চিকিৎসার ব্যয়বার বহন পরবর্তী দায়িত্ব নেওয়ার অনন্য দৃষ্টান্ত গড়েছেন সেরা এমপি শাওন।