যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার অর্থায়নে নতুন একটি গবেষণায় জানা গেছে, চাঁদের কোর শীতল ও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এর কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও বেশি ভাঁজ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সেখানে ভূকম্পন ও ভূমিধস বেড়ে গেছে। তাই ভবিষ্যতে চাঁদের বুকে নভোচারীরা কোথায় অবতরণ করবেন, তা নতুন করে ভাবতে হবে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একটি অঞ্চলে বরফ থাকতে পারে বলে এত দিন ধারণা করা হচ্ছিল। ওই অঞ্চল ঘিরেই বিশ্বের কয়েকটি দেশের মহাকাশ সংস্থা তাদের চন্দ্রাভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ওই অঞ্চলকে যতটা বাসযোগ্য মনে করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি ততটা অনুকূলে নয়।
ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের পর থেকে ওই অঞ্চল ঘিরে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়ছিল। ওই অঞ্চলে নভোযান পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয় রাশিয়া। এরপর নাসা তাদের আর্টেমিস-৩ মিশন ওই অঞ্চলে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ মিশনের মধ্য দিয়ে ২০২৬ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে নাসার। চীনের পক্ষ থেকে সেখানে ভবিষ্যতে মানববসতি গড়ার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়।
কিন্তু নাসার নতুন গবেষণার ফল এই প্রচেষ্টা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। চাঁদের কোর বা কেন্দ্রভাগ ধীরে ধীরে সংকুচিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে অনেকটাই আঙুলের কিশমিশে পরিণত হওয়ার মতো। কোর সংকুচিত হয়ে ঘন ঘন চন্দ্রকম্প হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া কৃত্রিম উপগ্রহপৃষ্ঠের সাধারণ প্রক্রিয়ার মতোই। কৃত্রিম উপগ্রহের দক্ষিণ মেরু সাধারণত কম্পনপ্রবণ এলাকা। এতে ভবিষ্যতে মানববসতি ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হলে তা হবে ঝুঁকিপূর্ণ।